Thursday, February 1, 2018

#TOPOLOGY
#HSC
#ICT


নেটওয়ার্ক টপোলজি :
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটারের সাথে অপর কম্পিউটারের সংযোগ ব্যবস্থা এবং সংযোগ এর ধরণকে টপোলজি (Topology) বলে। তবে নেটওয়ার্কের কম্পিউটারগুলোকে তার দিয়ে যুক্ত করলেই হয় না। তারের ভিতর দিয়ে নির্বিঘ্নে ডেটা যাওয়া আসার জন্য যুক্তিনির্ভর সুনিয়ন্ত্রিত একটি পথের প্রয়োজন আছে। নেটওয়ার্কের কম্পিউটারগুলোকে তারের মাধ্যমে যুক্ত করার যে নকশা এবং এর পাশাপাশি সংযোগকারী তারের ভিতর দিয়ে ডেটা যাওয়া আসার জন্য যুক্তিনির্ভর পথের যে পরিকল্পনা এ দু’য়ের সমন্বিত ধারণাকে বলা হয় নেটওয়ার্ক টপোলজি।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাধারণত নিম্নলিখিত সংগঠন ব্যবহার করা যায়–

১. বাস টপোলজি

২. স্টার টপোলজি

৩. রিং টপোলজি

৪. ট্রি টপোলজি

৫. মেশ টপোলজি

৬. হাইব্রিড টপোলজি 



বাস টপোলজি :
যে টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকটি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটারযুক্ত (নোড) থাকে তাকে বাস টপোলজি বলা হয়। বাস টপোলজির প্রধান ক্যাবলটিকে বলা হয় ব্যাকবোন (Backbone). সিগনাল যখন ব্যাকবোনে চলাফেরা করে তখন শুধু প্রাপক কম্পিউটার সিগন্যাল গ্রহণ করে, বাকিরা একে অগ্রাহ্য করে। একই সময়ে কেবল একটিবার কম্পিউটার তথ্য পাঠাতে পারে।

বাস টপোলজির সুবিধাসমূহ :
১. নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটার যুক্ত করলে বা সরিয়ে নিলে নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা হয় না।

২. নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্কের কোনো সমস্যা হয় না। সহজেই কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব।

৩. এই টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার খুব সহজ ও বিশ্বস্ত।

৪. কম ক্যাবল প্রয়োজন হয় বলে খরচ ও কম হয়।

৫. সহজেই নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়ানো বা কমানো যায়।

৬. প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন সম্প্রসারণ করা যায়।

৭. নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বা বাস সহজে সম্প্রসারণ করা যায়। দুটো পৃথক ক্যাবলকে একটি বিএনসি ব্যারেল কানেক্টর (BNC Barrel Connector) দিয়ে জোড়া লাগিয়ে একটি লম্বা ক্যাবল রূপ দেওয়া যায় এবং এতে আরও অধিক সংখ্যক কম্পিউটারকে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়।



বাস টপোলজির অসুবিধাসমূহ :
১. বাস বা ব্যাকবোন নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্কের সমস্যা হয়। বাস টপোলজিতে সৃষ্ট সমস্যা নির্ণয় তুলনামূলক জটিল। ব্যারেল কানেক্টর ক্যাবল এর মধ্য দিয়ে ডেটা প্রবাহিত হলে সিগনাল দুর্বল হয়ে যায়।

২. নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যা বেশী হলে ডেটা ট্রান্সমিশন বিঘ্নিত হয়।

৩. ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কম।



রিং টপোলজি :
রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার তার পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের (নোড) সাথে সংযুক্ত থাকে। এভাবে রিংয়ের সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথমটির সাথে যুক্ত থাকে। এ ব্যবস্থায় কোন কম্পিউটার ডেটা পাঠালে তা বৃত্তাকার পথে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে ঘুরতে থাকে যতক্ষণ না নির্দিষ্ট কম্পিউটার ডেটা গ্রহণ করে। এ ব্যবস্থায় কোন কেন্দ্রীয় কম্পিউটার থাকে না। এতে প্রতিটি কম্পিউটারের গুরুত্ব সমান। এ ধরণের টপোলজিতে প্রতিটি ডিভিাইসে একটি রিসিভার এবং একটি ট্রান্সমিটার থাকে যা রিপিটারের কাজ করে। এক্ষেত্রে রিপিটারের দায়িত্ব হচ্ছে সিগনাল একটি কম্পিউটারের থেকে তার পরের কম্পিউটারে পোঁছে দেওয়া। সিগনাল একটি নির্দিষ্ট দিকে ট্রান্সমিশন হয়।


রিং টপোলজির সুবিধাসমূহ :
১. নেটওয়ার্কে কোনো কেন্দ্রীয় কম্পিউটার বা সার্ভার কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় না।

২. প্রতিটি কম্পিউটার ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য সমান অধিকার পায় তাই ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটারই একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে পারে না।

৩. নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যা বাড়ালেও এর দক্ষতা খুব বেশি প্রভাবিত হয় না।



রিং টপোলজি অসুবিধাসমূহ :
১. রিং নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটার অপসারণ বা অচল হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়। 

২. নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটার যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে তা পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত করে।

৩. রিং টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা নিরূপন করা বেশ জটিল।

৪. এই নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়লে ডেটা ট্রান্সমিশনের সময়ও বেড়ে যায়।

৫. রিং টপোলজির জন্য জটিল নিয়ন্ত্রণ সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়।

স্টার টপোলজি :
স্টার টপোলজিতে নেটওয়ার্কভূক্ত সকল কম্পিউটার থেকে ক্যাবল বের হয়ে এসে একটি কেন্দ্রীয় স্থানে যুক্ত হয়। এই কেন্দ্রীয় স্থানে এসব ক্যাবল একটি ডিভাইসের সাথে যুক্ত হয় যাকে কনসেনট্রেটর বলে। এ কনসেনট্রেটর হাব (HUB) বা সুইচ (Switch) হতে পারে। কোনো কম্পিউটার ডেটা ট্রান্সফার করতে চাইলে তা প্রথমে সব হাব অথবা সুইচে পাঠিয়ে দেয়। এরপর হাব বা সুইচ সিগনালকে লক্ষ্য স্থানে পাঠিয়ে দেয়।

স্টার টপোলজির সুবিধাসমূহ :
১. নেটওয়ার্কে অধিক সংখ্যক কম্পিউটার যোগ করা যেতে পারে। স্টার টপোলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা নির্ভর করে হাবে বা সুইচে কয়টি পোর্ট আছে তার উপর। একটি হাবের সবকটি পোর্ট ব্যবহৃত হলে এই নেটওয়ার্ককে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে আরেকটি হাব বা সুইচ সেই হাবের সাথে যোগ করে। এখানে হাবের সংখ্যা বাড়িয়ে নেটওয়ার্কে অধিক সংখ্যক কম্পিউটার যোগ করা যেতে পারে।

২. নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সহজেই কেন্দ্রীয় অবস্থান অর্থাৎ হাব বা সুইচ থেকে সমস্যা অনুসন্ধান শুরু করা যায়। ইনটেলিজেন্ট হাব ব্যবহার করা হলে সেটি নেটওয়ার্ক মনিটরিং এর কাজও করতে পারে।

৩. নেটওয়ার্কের কোনো একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে তা নেটওয়ার্কের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না। অন্যান্য কম্পিউটার নিজেদের মধ্যে ঠিক মতোই যোগাযোগ করতে পারে। কোন কম্পিউটার সমস্যাযুক্ত তাও বের করা যায় সহজেই।

৪. হাব বিভিন্ন ধরণের ক্যাবল সাপোর্ট করলে একই সাথে কয়েক ধরণের ক্যাবল ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া যায়।

৫. হাব বা সুইচ ছাড়া নেটওয়ার্কের অন্য কোন অংশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও নেটওয়ার্ক সচল থাকে।

৬. একই নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা যায়।



স্টার টপোলজির অসুবিধাসমূহ :
১. কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক হাব বা সুইচ নষ্ট হয়ে গেলে পুরো নেটওয়ার্কই অচল হয়ে পড়ে। কারণ পুরো নেটওয়ার্ক হাব বা সুইচ এর মাধ্যমেই পরস্পরের সাথে সংযোগ থাকে।

২. এই টপোলজিতে অধিক ক্যাবল লাগে। কারণ প্রতি কম্পিউটার থেকে ক্যাবল হাবের নিকট নিয়ে যেতে হয়। ক্যাবল বেশী লাগায় খরচও বেশী হয়।

ট্রি টপোলজি :
মূলত স্টার টপোলজির সম্প্রসারিত রূপই হলো ট্রি টপোলজি। এ টপোলজিতে একাধিক হাব ব্যবহার করে সমস্ত কম্পিউটারগুলো একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে বলে রুট (Root)। সেখানে তাদের সংকেত পাঠানোর গতি বৃদ্ধির জন্য উচ্চ গতি বিশিষ্ট সংযোগ দ্বারা কম্পিউটারের সাথে সার্ভার যুক্ত করা হয়। ট্রি সংগঠনে এক বা একাধিক স্তরের কম্পিউটার হোস্ট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারের সাথে আবার তৃতীয় স্তরের কম্পিউটার যুক্ত থাকে। দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারের হোষ্ট হিসেবে কাজ করে।


ট্রি টপোলজির সুবিধাসমূহ:
১. নতুন ব্রাঞ্চ সৃষ্টির মাধ্যমে ট্রি টপোলজির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বেশ সুবিধাজনক।

২. অফিস ব্যবস্থাপনা কাজে এ নেটওয়ার্কের গঠন বেশি উপযোগী।

৩. নতুন কোন নোড সংযোগ করা বা বাদ দেওয়া সহজ। এতে নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় না।

ট্রি টপোলজির অসুবিধাসমূহ :
১. রুট নোড বা সার্ভার কম্পিউটারে কোনো ক্রুটি দেখা দিলে ট্রি নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়।

২. অন্যান্য টপোলজির তুলনায় অপেক্ষাকৃত জটিল।

মেশ টপোলজি :
মেশ টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার প্রতিটির সাথে সরাসরি একাধিক পথ যুক্ত হতে পারে। তাই প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশন সরাসরি যেকোনো ওয়ার্কষ্টেশনের সাথে ডেটা আদান প্রদান করতে পারে। এখানে কম্পিউটারগুলো শুধু যে অন্য কম্পিউটার থেকে তথ্য নেয় তা নয় বরং সেটা সে নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারের মাঝে বিতরনও করতে পারে।


মেশ টপোলজির সুবিধাসমূহ :
১. মেশ টপোলজির বড় সুবিধা হলো এটি ফল্ট টলারেন্স অর্থাৎ এতে একটি সংযোগ অকেজো হলে নেটওয়ার্ক অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

২. যেকোনো দুইটি নোডের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সংকেত আদান প্রদান করা যায়।

৩. এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিশ্চয়তা থাকে।

৪. নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা যায়।

৫. এক নোড থেকে অন্য নোডে ডেটা সরাসরি স্থানান্তর করা যায়।

৬. অবকাঠামো অনেক শক্তিশালী।



মেশ টপোলজির অসুবিধাসমূহ :
১. সংযোগের সংখ্যা বেশী হওয়ায় বড় ধরণের নেটওয়ার্কে মেশ টপোলজি ম্যানেজ করা প্রায় অসাধ্য হয়ে পড়ে।

২. সংযোগ লাইনগুলোর দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় খরচ বেশি হয়। তাছাড়া নেটওয়ার্কে অতিরিক্ত লিংক স্থাপন করতে হয় বিধায় খরচ আরও বেড়ে যায়।

৩. এই টপোলজিতে নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন বেশ জটিল।



হাইব্রিড টপোলজি :
বাস, স্টার, রিং ইত্যাদি টপোলজির সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক টপোলজিকে বলা হয় হাইব্রিড টপোলজি। উদাহরণস্বরূপ ইন্টারনেটকে এ ধরনের টপোলজি হিসেবে অভিহিত করা যায়। কেননা ইন্টারনেট হলো বৃহৎ পরিসরের একটি নেটওয়ার্ক যেখানে সবধরনের টপোলজির মিশ্রণ দেখা যায়। 

হাইব্রিড টপোলজির সুবিধাসমূহ :
১. এই টপোলজিতে প্রয়োজনানুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।
২. কোন সমস্যা দেখা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
৩. কোন এক অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়।



হাইব্রিড টপোলজির অসুবিধাসমূহ :
১. এই টপোলজিতে ব্যবহৃত হাবসমূহ সর্বদা সচল রাখতে হয়।
si
#HSC
#ICT
#HTML

ওয়েবসাইটের কাঠামো (Website layout):
                                     একটি ওয়েবসাইটের ভেতরে অনেক ওয়েব পেইজ থাকতে পারে। ওয়েবসাইটের অন্তর্গত বিভিন্ন পেইজগুলো কীভাবে সাজানো থাকবে তাই হল ওয়েবসাইটের কাঠামো। একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে প্রথমে কোন পেইজ আসবে, সেখান থেকে অন্যান্য পেইজে কীভাবে যাওয়া যাবে তা ওয়েবসাইটের কাঠামোতে ঠিক করা হয়।

একটি ওয়েবসাইটের কাঠামো মূলত তিন ভাগে বিভক্ত থাকে। যথা – 

১. হোম পেইজ (Home page)

২. মূলধারার পেইজ (Main sections)

৩. উপধারার পেইজ (Subsections)

হোম পেইজ, মূলধারার পেইজ ও উপধারার পেইজগুলো বিভিন্নভাবে সাজানো থাকতে পারে।

ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উহার বিভিন্ন পেইজগুলোকে নিম্নোক্ত চার ভাবে সাজানো যায়। যথা –

১. ট্রি বা হায়ারারকিক্যাল (Hierarchical)

২. সিকুয়েন্স বা লিনিয়ার (Linear)

৩. ওয়েব লিংকড বা নেটওয়ার্ক (Network)

৪. হাইব্রিড বা কম্বিনেশন (Combination)



**ট্রি বা হায়ারারকিক্যাল : 
                                     হায়ারারকিক্যাল ওয়েবসাইট কাঠামোতে ব্যবহারকারী হোম পেইজে ল্যান্ড করে। হোম পেইজে সাব মেনু ও অন্যান্য পেইজের লিংক থাকে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করা যায় যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটররা সহজেই বুঝতে পারে কোন অংশে তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট যেমন: কোন স্কুল, কলেজ বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এ ধরনের হয়ে থাকে।


**লিনিয়ার:
                 যখন কোন একটি ওয়েবসাইটের পেইজগুলো নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে ভিজিট করার প্রয়োজন হয় তখন সিকুয়েন্স বা লিনিয়ার স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়। কোন পেইজের পর কোন পেইজ আসবে তা ওয়েব টেকনোলজি ডিজাইন করার সময় ঠিক করা হয়ে থাকে। এই ধরনের পেইজগুলোতে সাধারণত Next, Previous, Last, First ইত্যাদি কয়েকটি লিংকের মাধ্যমে Visitor প্রতিটি পেইজ দেখতে পারে। এই কৌশলের মাধ্যমে কোন শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু যেমন বই, ম্যানুয়াল ইত্যাদি ওয়েবপেইজে পাবলিশ করা হয়ে থাকে।

**নেটওয়ার্ক : 
           এখানে সবগুলো ওয়েব পেইজেরই একে অপরের সাথে লিংক থাকে অর্থাৎ একটি মেইন পেইজের সাথে যেভাবে অন্যান্য পেইজের যেমন লিংক থাকে ঠিক তেমনি অন্যান্য পেইজের তাদের সাথেও মেইন পেইজের লিংক থাকে। ফ্রেম ব্যবহার করে তৈরি করা ওয়েব পেজগুলো এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লিংক করা হয়ে থাকে যাতে একটি ফ্রেমের মধ্যে অন্যান্য পেইজের লিংকগুলি মেনু আকারে রাখা হয়। এই ফ্রেমটি সাধারণত স্থির থাকে এবং কোন একটি লিংক নির্বাচন করলে ঐ পেইজটি অপেক্ষাকৃত বড় ফ্রেমের মধ্যে দেখায়।


**হাইব্রিড বা কম্বিনেশন :
                        কোন একটি কৌশল ব্যবহার করে কখনও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় না। বরং একাধিক কৌশলের সমন্বয়ে একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হয়ে থাকে। Hierarchical Technique ব্যবহার করে কোন ওয়েবসাইট ডিজাইন করলে তা খুব দর্শনীয় হয় না। আবার শুধুমাত্র Network Technique ব্যবহার করে তৈরি করা ওয়েবসাইট হার্ড ডিস্কে বেশি জায়গা দখল করে। তাই একাধিক কৌশল ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি হয়। তবে এক ওয়েবপেইজ থেকে আর এক ওয়েবপেইজে যাওয়ার জন্য যা ব্যবহার করা হয় যেমন লিংক, বাটন, মেনু ইত্যাদি (এদেরকে বলা হয় Navigational টুল) অবশ্যই স্পষ্ট হতে হবে। যদি লিংকগুলো কোন পেইজের উপরে বাম দিকে দেয়া হয় তবে একই লিংক পেইজের নীচেও দেয়া উচিৎ।
si